লঞ্চে ভয়াবহ আগুন: হাসপাতালে শিশু মারজিয়ার মৃত্যু
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:০০ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ মারজিয়া আক্তার নামে এক শিশু মারা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলম নবীন।
৭২ জনকে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনালে লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী ওঠানামা করেন।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে যায়। পরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দিয়াকুল এলাকায় নদীর তীরে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
লঞ্চ থেকে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন যাত্রীদের অনেকেই। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা নৌকা নিয়ে লঞ্চের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের চেষ্টায় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরাও উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করেন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রাত ৩টা ২৮ মিনিটে তাদের কাছে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। তাদের কর্মীরা ৩টা ৫০ মিনিটে সেখানে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
আহত ৭২ জনকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে বার্ন ইউনিট বন্ধ। যারা এসেছেন তাদের অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। ৬৭ জনকে সার্জারি ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর ও পরিবহণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
