লোকালয়ে সাপখেকো বিষধর শঙ্খিনী!
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অতি সুন্দর ও চমৎকার নানা রঙে সজ্জিত, মাথা আকারে বেশ বড়, কালো রং, সারা শরীরজুড়ে পরপর কালো ও হলুদ ডোরা। বিষধর এ সাপটির নাম শঙ্খিনী।
এটি মূলত ইলাপিডি গোত্রের বিষাক্ত সাপ। যার ইংরেজি নাম ব্যান্ডেড ক্রেইট এবং বৈজ্ঞানিক নাম বাঙ্গারাস ফ্যাসিয়াটাস।
নিউরো টক্সিন বিষ সংবলিত শঙ্খিনী সাপকে এলাকা ভেদে আলাদা আলাদা নামে ডাকা হয়। যেমন- শাখামুটি, সানি সাপ, দুই মাথা সাপ প্রভৃতি।
বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিমে সন্দ্বীপপাড়া এলাকায় এমনি একটি বিপন্ন প্রজাতির সাপখেকো বিষধর শঙ্খিনী সাপ ধরা পড়ে।
খবর পেয়ে স্থানীয় বন বিভাগ হাটহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরী তার সহকর্মী ও স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের সদস্যদের সহযোগিতায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর সকালে পৌরসভার ১১ মাইলস্থ স্থানীয় বন বিভাগের অফিস সংলগ্ন পুকুরে অবমুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশ এর সদস্য মারফত খবর পেয়ে হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিমে সন্দ্বীপপাড়া এলাকায় থেকে সাপখেকো বিষধর বিপন্ন শঙ্খিনী সাপটি উদ্ধার করি। শঙ্খিনী সাপের চামড়ার বাজার দর খুব চড়া। তাই সাপটির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমার অফিসের পাশে একটি পুকুরে সাপটি অবমুক্ত করি। সাপটি দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ৭ ফুট হবে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট গ্রন্থে সাপটিকে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী এ সাপটি সংরক্ষিত। তাই এটি আটক, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
