শাবির হল খুলছে কাল, অনলাইনে ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:৪২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলছে আগামীকাল সোমবার। পরদিন মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু হবে।
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণার পর দিন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন জানান, রাতে উপাচার্যের কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য। সভায় সোমবার থেকে হল খোলা ও মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সরকার বিধিনিষেধ না বাড়ালে বা সশরীরে ক্লাসের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা না দিলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সরাসরি ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ যারা সহযোগিতা করেছে; সবাইকে ধন্যবাদ জানায় সিন্ডিকেট।
এদিকে ২৭ দিন পর আজ নিজ কার্যালয়ে অফিস করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্যের অফিস করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আন্দোলনরকারীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আপাতত আন্দোলন থেকে সরে এসেছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে টানা ২৭ দিন আন্দোলনের পর গতকাল শনিবার কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আগের দিন শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা।
১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা অবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে এ আন্দোলন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। ২৬ জানুয়ারি সকালে অনশনস্থলে এসে লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। তবে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন।
