জন্মপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের, ছাত্রের আত্মহত্যাচেষ্টা
ত্রিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:০২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর জন্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক। এর পর ওই শিক্ষার্থী ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পর উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর জন্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই বিভাগের শিক্ষক ড. শেখ মেহেদি হাসান।
এর পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনার বর্ণনা দেন ওই ছাত্র। তিনি বলেন, ১০টি ঘুমের বড়ি খেয়েছি।
বিষয়টি জানতে পেরে তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ত্রিশালের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শামীম সিদ্দিক এসাইনমেন্ট জমা দিতে গেলে তার বাবার বয়সের কথা ও পেশার কথা জিজ্ঞাসা করে। শামীম উত্তর দেয় দেয় তার বাবার বয়স ৪৫ বছর, তিনি পেশায় শিক্ষক। উল্টো শিক্ষক মেহেদী হাসান বলে তোমার বয়স কত? বলে জন্ম সংক্রান্ত বিষয়ে আঘাত করে। পরে শামীম ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ঘুমের ওষুধ সেবন করে।
এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ী শিক্ষক ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মেহেদী হাসানের বহিষ্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করে। পরে তারা দেড় ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক তপন কুমার সরকার বলেন, সর্বপ্রথম আমরা শিক্ষার্থীর সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসার পর অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ায় সে এখন শঙ্কামুক্ত। তবে এ ধরনের রোগীকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় বলে আমাদের জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন,আমরা শিক্ষার্থী শামীম সিদ্দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসার পর সে অনেকটাই স্বাভাবিক। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষক বহিষ্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করে। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
