‘স্বামীর মৃত্যুর পর ২ সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি’ (ভিডিও)
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৩৪ পিএম
ছবি-যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এক বছর আগে জয়পুরহাটের পুরানাপৈল রেলগেটে ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। সেদিন পাঁচবিবি রেলস্টেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সুমন বাস্প নিহত হয়েছিলেন।
সুমন জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের ইটাখোলা গ্রামের মৃত মংলা বাস্পর ছেলে। দুর্ঘটনা কবলিত সেই বাসে করে সেদিন সুমন বাড়ি থেকে কর্মস্থল পাঁচবিবিতে যাচ্ছিলেন।
মৃত্যুর সময় সাত বছর বয়সী মেয়ে প্রীতি ও চার বছরের ছেলে প্রিন্স ও এবং স্ত্রী পুনম রানীকে রেখে যান তিনি।
স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পুনম। দুই সন্তানের লালন পালন ও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
পুনমের বাবাও বেঁচে নেই। তার ভাইয়েরা বিয়ে করে সবাই আলাদা থাকে। তাই সন্তানদের নিয়ে একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকতে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চাকরির আকুতি জানিয়েছেন।
সুমনের মৃত্যুর পর একটি চাকরি ও স্বামীর মৃত্যুকালীন ভাতা পাওয়ার আশায় রেল বিভাগের পাকশী অফিসে বহুবার গেছেন পুনম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গতকাল শুক্রবারও শিশুসন্তানকে নিয়ে স্বামীর কর্মস্থল পাঁচবিবি রেলস্টেশনে আসেন পুনম। সেখানে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তার।
স্বামীহারা এই নারী বলেন, আমার বাবা নেই। ভাইয়েরা বিয়ে করে নিজেদের সংসার নিয়েই ব্যস্ত। ছোট দুটি ছেলেমেয়ে নিয়ে অভাবী মায়ের সংসারে আর কত দিন থাকব।
পুনম বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ যদি আমার স্বামীর জায়গায় আমাকে একটা চাকরি দিত, তাহলে শিশুসন্তানদের নিয়ে বাঁচতে পারতাম। স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান দুটি নিয়ে খুব কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।
২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভোরে পুরানাপৈল লেভেল ক্রসিং খোলা রেখে গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনের সঙ্গে বাঁধন পরিবহণের সংঘর্ষ হয়। এতে ১২ জন নিহত হন।
পাঁচবিবি স্টেশনমাস্টার আব্দুল আওয়াল বলেন, নিহত সুমন এ স্টেশনেই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন। তার মারা যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
