কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের এতিম সেই দুই শিশুর বোনের বিয়েতে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা দিয়েছে পুলিশ।

এর আগে রবিদাস পরিবারকে নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি যুগান্তরে 'বোনের বিয়ের খরচ জোগাতে দিশাহারা এতিম দুই শিশু'  শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পুলিশের সাবেক চার কর্মকর্তার নজরে এলে অসহায় রবিদাস পরিবারের এতিম মেয়েটির বিয়ের জন্য কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদের মাধ্যমে এ টাকা দেওয়া হয়।

আর্থিক অনুদান দেওয়া পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিআইজি অলিউর রহমান, ডিআইজি টিআই চৌধুরী, পুলিশ সুপার এমএন ভক্ত ও পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম।

অনুদান প্রদান উপলক্ষ্যে লোহাজুরী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার বিকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ওবায়দুল্লাহ আকন্দ ভুবনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ নূরে আলম।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লোহাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার মারুয়া, লোহাজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম বিএসসি, কটিয়াদী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও যুগান্তর প্রতিনিধি অধ্যক্ষ ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সাংবাদিক মোবারক হোসেন, যুবলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মো. আবদুল খালেক প্রমুখ।

আলোচনা শেষে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ এতিম অসহায় দুই শিশুর মা বিধবা আরতী রানী রবিদাস ও তাদের শিশুপুত্র সঞ্জয় রবিদাসের হাতে নগদ এক লক্ষ দশ হাজার টাকা তুলে দেন।  

এছাড়া  কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম কালেক্টরেট ভবনের  নিজ কার্যালয়ে ডেকে এনে ওই দুই শিশুর মা আরতি রাণী রবিদাসের হাতে নিজ তহবিল থেকে তুলে দেন ২০ হাজার টাকার চেক। একই সময় তাদের লেখাপড়া নিশ্চিতের আশ্বাস দেন তিনি। আর তাদের লেখাপড়ার নিয়মিত দেখভালের দায়িত্ব দেন কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পালকে।

আগামীকাল ৩ মার্চ আনন্দ ও সঞ্জয় রবিদাসের বড়বোন নীপা রানী দাসের বিয়ে।