খুলনা বিভাগের সার্কিট হাউস, বাংলো, রেস্ট হাউসের কর্মচারীদের জন্য ‘নিরাপদ রান্না, কিচেন ব্যবস্থাপনা, হাউস কিপিং ও টেবিল এটিকেট’ শীর্ষক ৬ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় খুলনা মহানগরীর ৭৩/৩ কেডিএ অ্যাভিনিউয়ে টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্টে এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা শহরে এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও কোর্স সমন্বয়ক আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্টে চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। খুলনা শহরে এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।

এ সময় শহিদুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য এটাই আমাদের মূল থিম। নিরাপদ খাদ্যের পাশাপাশি কিচেন ব্যবস্থাপনা, টেবিল এটিকেট এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। রন্ধনশীল্পে নিরাপদ খাদ্য বিষয়টি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু আজকের জন্য নয়, এটাকে অনেক আগে থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করেছে। এছাড়া ভোক্তা অধিদফতর রয়েছে। যারা সবাই কাজ করছে। তাদের একটি উদ্দেশ্য নিরাপদ খাদ্য সবার কাছে তুলে দেওয়া। 

বিশেষ করে যারা হোটেল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন, তারাসহ সবার উদ্দেশ্যে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া। আর এটি পৌঁছাতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে ৬ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

শেফ টনি খান বলেন, দেশের হোটেল রেস্টুরেন্টে ১০ লাখ লোকের চাহিদা রয়েছে। দেশে আরও ১৬টি নতুন হোটেল আসছে। ইউকে ও জার্মানিতে ৪ লাখ লোক চাচ্ছে। অথচ আমাদের দক্ষ লোক নেই। ট্রেনিং ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। একটি গ্লাস ধরতেও ট্রেনিং লাগে।

এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছে টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব বিখ্যাত শেফ টনি খান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম মালিক, প্রতিষ্ঠানে ভাইস পিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর আশিষ বৈরাগী, সিনিয়র ইনেস্ট্রাকটর রাঁধুনী ১৪২৭-এর দ্বিতীয় স্থান অধিকারী রন্ধনশিল্পী নাদিয়া নাতাশা, ইনস্ট্রাকটর রেহেনা মোর্তজা, নাজনীন আশরাফ লাইজু।