ফেরি সংকটে পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি, পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৯:৪৫ এএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফেরি সংকটের কারণে পদ্মা নদী পাড়ের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে যানবাহনের সারি। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়াঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জমিদার ব্রিজ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ট্রাক ও যানবাহনের চালকরা দেখা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত ফেরির।
ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এ সকল যানবাহনের চালক ও সহকারিরা। সেইসঙ্গে গোয়ালন্দ থেকে রাজবাড়ীতে যাওয়া অনার্স থার্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে যেতে মহাসড়কের যানযটে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
পরীক্ষার্থী আশিক মাহমুদ বলেন, সকাল ১০টার দিকে গোয়ালন্দ বাজার বাসষ্ট্যান্ড থেকে পরীক্ষা দিতে রাজবাড়ীতে যাওয়ার জন্য মহাসড়কে মাহেন্দ্রেতে ১০ জন পরীক্ষার্থী আটকে আছি। যানজট থাকায় সময়মতো পরীক্ষা দিতে পারবো কিনা বলে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
ঘাট এলাকাতে শতশত যানবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের জন্য অপেক্ষায় থাকলেও চাপ নেই ব্যক্তিগত ছোট গাড়ীর। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ী নদী পার করার কারণে ঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না তাদের। ঘাট এলাকাতে এসে কিছু সময় পরই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে পরিবহন ও ছোটগাড়ীগুলো।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৮ কিলোমিটার দূরে জমিদার ব্রিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করছে যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাক।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে নদী পাড়ের জন্য অপেক্ষা করছে আরও প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। আর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের স্কেলের কাছে অপেক্ষা করছে আরও প্রায় অর্ধশত পণ্যবাহী ট্রাক।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ভাঙ্গারী বোঝাই ট্রাক চালক কামাল হোসেন জানান, নদী পারের জন্য তাদের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ফাঁকা সড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে অপেক্ষায় থাকা যান। খাবার হোটেল, টয়লেট ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কার্যালয় (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, এ নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে ১৭টি। ফেরি ও ঘাট সংকটের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই দীর্ঘ সারি ঘাট এলাকায় যেন না থাকে তা নিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
