Logo
Logo
×

সারাদেশ

ডানা মেলল ১৯ শকুন

Icon

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৭ এএম

ডানা মেলল ১৯ শকুন

দেশে সাত জাতের শকুন রয়েছে

দেশে সাতটি জাতের শকুন রয়েছে। তবে কালের পরিক্রমায় এখন বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রায় শকুন পাখি। বিলুপ্ত প্রায় এ পাখিটি রক্ষা ও বংশ বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে শকুন উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর ও আইইউসিএন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ কেন্দ্রে দিনাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে শকুন সংগ্রহ করে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। পরে অসুস্থ্য ও দুর্বল শকুনদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য করার পর আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

২০১২ সালে উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে এবং ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস উৎযাপন করা হয়। কেন্দ্রটি চালু করার পর থেকে এখানে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫টি শকুন উদ্ধার করে আনা হত। তবে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬টি শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৭টি শকুন প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

সেবা দিয়ে সুস্থ্য করে তোলার পর শনিবার সকাল ১১টায় বাকি ১৯টি শকুন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপ প্রধান বন সংরক্ষক সুফল পরিচালক গোবিন্দ রায়, বন সংরক্ষক বন্য প্রাণী পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম, বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট পরিচালক এএসএম জহির উদ্দিন, বন সংরক্ষক বগুড়া অঞ্চল মো. আমিনুল ইসলাম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর বশিরুল-আল-মামুন, বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের, মুখ্য গবেষক শকুন সংরক্ষণ প্রকল্প আইইউসিএন বাংলাদেশ সারোয়ার আলম দিপু, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ মো. রাকিবুল আমীন প্রমুখ।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বন বিভাগ এবং আইইউসিএন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। এ কারণে এ এলাকায় এখনো কিছু শকুন দেখা যায়। অনেক সময় এগুলো অতিথি হয়ে আসে। এ শকুনগুলো অনেক দূর থেকে আমাদের দেশে আসার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে তারা মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে এ কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ্য করে তোলার পর আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এ পর্যন্ত ১৪৯টি শকুন সুস্থ্য অবস্থায় প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ এলাকার মানুষ যদি সচেতন হয় এবং সহযোগিতা করে তাহলে উদ্ধারকৃত শকুন পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। 
 

ডানা মেলল ১৯ শকুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম