স্কুলের পেছনে বাঁশঝাড়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ, অতঃপর...
মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০১:২৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্কুলের পেছনে বাঁশঝাড়ে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গত শনিবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতাররা হলো- উপজেলার চেরাগপুর পুর্বপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আল আমিন (১৭) ও বাবুল হোসেনের ছেলে শোয়াইব। তারা দুজনই শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য স্কুলের কোনো বাথরুম না পেয়ে পেছনে খোলা বাঁশঝাড়ের মধ্যে যায়। সেখানে ওতপেতে থাকা চেরাগপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আল-আমিন, আবু তালেবের ছেলে রুহুল, মন্টু মিয়ার ছেলে রিমন, মো. আবুল হোসেনের ছেলে সোয়াইব গলায় হাঁসুয়া ধরে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার ভিডিও চিত্র আসামি রাহুল, আসামি সোয়াইবের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে তাদের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুল ঘরের মেঝেতে আবারো ধর্ষণ করে। ওই সময় আলামিন তার ব্যবহৃত ফোনের মাধ্যমে ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এভাবে তারা ভিকটিমকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে গত ২১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় সনাতন মাস্টারের কাছ থেকে প্রাইভেট শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় দেওয়ানপুর ব্রিজের উপর পৌঁছামাত্র আসামিরা পুনরায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করার জন্য কুপ্রস্তাব দেয় এবং উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি পরিবারের কাছে ভিকটিম জানালে তার বাবা মহাদেবপুর থানায় শনিবার রাত ১২টায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলা দায়েরের পর ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে থানা হেফাজতে নিয়ে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।
