Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার কারণ ছিল আদর্শিক’

Icon

গাজীপুর ও মহানগর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২২, ০২:৪৬ পিএম

‘আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার কারণ ছিল আদর্শিক’

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর উপলক্ষে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার একজন দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি খুব দ্রুত সময়ে শ্রমিকদের মাঝে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছিলেন। যার কারণে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি শিক্ষক থেকে একজন শ্রমিক নেতা হয়ে মেহনতি মানুষের খুব কাছে যেতে পেরেছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার কারণ ছিল আদর্শিক। ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক মিত্র তারা আমাদের এ স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। তারা বারবার চেষ্টা করেছিল আমাদের এ স্বাধীনতাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার জন্য।  

শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর উপলক্ষে শনিবার গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, তিনি কথায় কথায় গণতন্ত্রের সবক দেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডসহ অজস্র হত্যাকাণ্ডের দায় আপনাদের ঘাড়ে আছে। আহসান উল্লাহ মাস্টারের রক্তে আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া ও আপনার নেতা তারেক রহমানের হাত রঞ্জিত আছে। এখান থেকে কোন দিন মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই। আপনি  যতই মায়া কান্না কাঁদেন আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীর রক্তে আপনার নেত্রীর হাত রঞ্জিত। আপনার নেতার হাত রঞ্জিত। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার এ বাংলার মাটিতে হয়েছে এবং আরও হবে। 
 
আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, প্রফেসর রুমানা আলী টুসি এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান, সাবেক সচিব ও জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি এমএম নিয়াজ উদ্দিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামিল হাসান দুর্জয়, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সঞ্জিত মল্লিক বাবুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।

এছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সকাল থেকে এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে বলেন, আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। আপনার দুই শীর্ষ নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতি ও এতিমের টাকা আত্মসাতের জন্য কারাগারে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদন্যতা ও দয়ায় জেলখানার পরিবর্তে এখন বাসায় আছেন। আরেকজন শীর্ষ নেতা তারেক রহমান দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বিদেশে পলাতক। যে দলের দুই শীর্ষ নেতা কারাগারে ও বিদেশে পলাতক তাদের মুখে আইনের কথা, দুর্নীতি ও গণতন্ত্রের কথা মানায় না। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ঘাতকদের দোসর রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পরই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য চক্রান্ত করেছিল। আওয়ামী লীগের প্রায় তিন লাখ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছিলেন। তখনই অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছিল।  

এ অপশক্তির যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান হানিফ। 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করে আমাদের এ দেশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই মির্জা ফখরুলরা লবিস্ট নিয়োগ করে টাকা দিয়ে টাকা খরচ করে র্যাবের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা করেছে। আপনার নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। সেটার জন্য আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। তারেক রহমান একজন দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী বলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। 
  
আগামী বছর আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদতবার্ষিকীর আগেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা কারণ আদর্শিক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম