|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আল আমিন ও বেলাল গং এর হামলায় নাসির উদ্দিন ডাক্তার বাড়ির একই পরিবারের ৬ জন আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার ৮নং এওজবালিয়া ইউনিয়নের করমুল্লা বাজারে সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
হামলার সময় বাড়িঘর ও মাক্রোবাস ভাঙচুরসহ স্বর্নালংকার ও নগদ ৫ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ সময় ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে আহতেদর উদ্ধার করে।
আহতরা হলেন - গ্রাম্য চিকিৎসক নাসির উদ্দিন (৫৫), তার স্ত্রী সায়মা আক্তার (৪৫) , তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (১৮), ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫), মেয়ে নাসিমা আক্তার (৩০), ছেলের বউ শিমুলী আক্তার (২২)। আহতদের মধ্যে নাসির ও তার ২ পুত্র নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত নাসিমা আক্তার জানান, গত ৯ মে সোমবার সকাল ১১টায় ঝড়ের মধ্যে বেলালের ছেলেরা আমাদের বাড়ির নারিকেল গাছে উঠে নারিকেল পেড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। আমার বাবা ডাক্তার নাসির উদ্দিন এতে বাধা দিলে তারা বাড়ি গিয়ে তাদের বাবা বেলালকে সত্য মিথ্যা বানিয়ে বলে। ছেলেদের কথা শুনে বেলাল ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড নিয়ে আমাদের বাড়ির পাশে এসে আমার বাবাকে পেয়ে মারধর করে চলে যায়। একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় বেলাল পাশ্ববর্তী তার আত্মীয় আল আমিন, মামুন ,জুয়েল, দেলোয়ার, আবদুল সহিদসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন দেশিয় ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠিসোঠা, লোহার রড নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। আমার ভাইদের কুপিয়ে আহত করে। এসময় তাদের বাঁচাতে আসলে তারা আমার বাবা নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্যদের পিটিয়ে আহত করে এবং ঘরে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ঘরের দরজা জানালা ভাঙচুর করে। আমার ভাই অন্যের মাইক্রোবাস চালিয়ে সংসার চালায়। তারা বাড়িতে থাকা মাক্রোবাসটিও ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে কোন উপায় না দেখে আমরা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের প্রাণ বাঁচায়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, ৯৯৯ এ ফোন আসা মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
