নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর ত্রিপল মার্ডার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১২ লাখ টাকা ঋণের বোঝা থেকে বাঁচতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নরসিংদীর বেলাবোতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, নিহত রাহিমার স্বামী গিয়াস মাদকাসক্ত ও জুয়াড়ি। জুয়ার টাকা জোগার করতে নিহত রাহিমা বেগমের নামে বিভিন্ন এনজিও, শ্বশুর, শ্যালকের কাছ থেকে ও সুদে টাকা নেওয়াসহ মোট সাড়ে ৯ লাখ টাকা ঋণ নেয়। এসব ঋণ নিহত রাহিমা বেগমের নামে আনা হয়; যা সুদে আসলে ঋণের টাকা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যায়।

তিনি জানান, এই টাকা পরিশোধের জন্য নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিনের ওপর চাপ ছিল। সর্বশেষ জুয়া খেলার মতো কোনো টাকা তার হাতে ছিল না। তাই বাড়ির আঙিনা থেকে কয়েকটি গাছ বিক্রি করেন। তা নেওয়ার সময় প্রতিবেশী চাচাতো ভাই রেনু মিয়ার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরই মধ্যে সে জানতে পারে ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি মারা গেলে ঋণের টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এই চিন্তা-চেতনা থেকে গিয়াস স্ত্রী রাহিমা বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত গিয়াস রাতে বাড়ি ফিরে সন্তানদের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রীকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে ও গরু জবাইয়ের ছুড়ি দিয়ে হত্যা করে। স্ত্রীকে হত্যার পর সন্তানরা সবাইকে বলে দেবে- এই ভয়ে গিয়াস সন্তানদেরও হত্যা করে।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাতে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের শেখবাড়ির প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ও ঋণের বোঝা থেকে বাঁচতে স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৫), তার ছেলেসন্তান রাব্বি (১৩) ও মেয়ে  রাকিবা আক্তারকে (৬) হত্যা করে।