|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ফাতেমা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) আটক করেছে পোরশা থানা পুলিশ।
রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের দীঘিপাড়া শাহাপুকুর গ্রামের নিজ শয়নকক্ষ থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে ফাতেমা আক্তারের মৃত্যুর পর তার বাবা সাংবাদিকদের বলেন, সালিশ করেও রক্ষা করা গেল না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে মেরেই ফেলল তারা।
নিহতের স্বজন, স্থানীয় বাসিন্দা ও পোরশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে উপজেলার কবিরাজপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে দীঘিপাড়া শাহাপুকুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মোস্তাফিজুরের বিয়ে হয়। এ দম্পতির আট বছরের একটি ছেলে ও তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে বিরোধ চলছিল ফাতেমার। মোস্তাফিজুর রহমান গত চার বছর ধরে ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করছেন। স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলায় মোস্তাফিজুর খুব কম সময়ের জন্য বাড়ি আসতেন।
মোস্তাফিজুর গ্রামের বাড়িতে আসলে স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। স্ত্রীকে মারধরও করতেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আপস মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে একাধিকবার।
গত শনিবার সকালে মোস্তাফিজুর ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ফাতেমার। একপর্যায়ে ফাতেমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মোস্তাফিজুর। পরে খবর পেয়ে রোববার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পোরশা থানা পুলিশ।
ফাতেমার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, মোস্তাফিজুর এর আগেও আমার মেয়েকে মারধর করেছে। এটা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশও হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে মেরেই ফেলল। আমি আমার মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পোরশা থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, গৃহবধূর গলায় কালো দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। নিহত গৃহবধূর স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
