মাদক ব্যবসা নিয়ে যুগান্তরে প্রতিবেদন, পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন আদালত
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২২, ০৬:৩৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারী এলাকার এসপি অফিসের অদূরে মাদক ব্যবসা নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর কী ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ৭ দিনের মধ্যে পুলিশ রিপোর্ট প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও ঘটনার পরিস্থিতি উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে প্রকাশিত সংবাদের ভিডিও ফুটেজটি সংগ্রহ করে ফুটেজ দেখে আসামিদের সনাক্ত করার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত ওই নির্দেশ দেন। এছাড়াও যুগান্তর পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার ও সম্পাদক এবং ডিবিসি টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহককে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তথ্য প্রদান করে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, একজন ম্যাজিস্ট্রেট কোনো পুলিশ অফিসার ব্যতীত অন্য কোথাও হতে প্রাপ্ত তথ্য অথবা নিজ জ্ঞান অথবা সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অত্র মিস মামলার নথি খোলা হয়েছে। বিগত ২৯ জুলাই যুগান্তর পত্রিকায় ‘এসপি অফিসের ১০০ ফুট দূরে হেরোইন গাঁজার হাট, মাসে বিক্রি ৩ কোটি টাকা’ মর্মে সংবাদ প্রচারিত হয়।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতে বিচারক কাওসার আলম তার ‘অবজারভেশনে’ বলেছেন- ‘উল্লেখিত অপরাধসমূহ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা আবশ্যক। এমতাবস্থায়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও ফুটেজ বিবেচনায় নেওয়া হলো। ওই অপরাধে কারা জড়িত তাদের নাম, ঠিকানা, বয়স সংবাদে নাই। কে কী অপরাধ করেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নাই। সুতরাং পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা নিরূপণের জন্য বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে অত্র আদালত মনে করেন। পত্রিকায় প্রকাশিত অপরাধের সংবাদটি সরেজমিন পূর্নাঙ্গ তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবি, নারায়ণগঞ্জ-কে নির্দেশ প্রদান করা হলো। অত্র আদেশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ ডিবির নিজ তদারকিতে তৎমনোনীত একজন পরিদর্শক পদ মর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করবেন, ঘটনার পরিস্থিতি উদঘাটন করবেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি যাচাইবাছাইপূর্বক আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। ভিডিও ফুটেজটি সংগ্রহ করে ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করবেন।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ‘এসপি অফিসের ১০০ ফুট দূরে হেরোইন গাঁজার হাট, মাসে বিক্রি ৩ কোটি টাকা’ শিরোনামে যুগান্তরে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদের পর নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। একাধিক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় কমপক্ষে ১৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক।
