Logo
Logo
×

সারাদেশ

দেবর-ভাবির পরকীয়ার পরিণতি...

Icon

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:০৪ পিএম

দেবর-ভাবির পরকীয়ার পরিণতি...

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দেবর ও ভাবির পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী সীমা আক্তারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে।

সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা পর সীমার লাশ রেখে স্বামী জুয়েলসহ পরিবারের সব সদস্য বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

রাতেই সীমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

জানা যায়, ২ বছর আগে একই ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের সুরুজ ভূঁইয়ার মেয়ে সীমা আক্তারের ডোয়াইল গ্রামের মৃত নাজির উদ্দিনের ছেলে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের ৪ মাস বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। বিয়ের আগে থেকেই জুয়েলের সঙ্গে তার বড়ভাই শামীমের স্ত্রী রেখা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল।

বিয়ের পর সীমা আক্তার তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক দেখে মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে সীমা ও স্বামী জুয়েলের মধ্যে দাম্পত্যে কলহ বিবাদ লেগেই থাকত। এতে তাদের বনিবনা নিয়ে মাঝে-মধ্যেই সীমার ওপর নির্যাতন চালাত স্বামী জুয়েল।

একপর্যায় সোমবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ বাধে। এ সময় রাগে-ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল লাঠি দিয়ে সীমাকে পিটিয়ে ফুলা জখম করে। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সীমা। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সীমাকে উদ্ধার করে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে জুয়েলসহ পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

নিহত সীমার দাদা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তার ভুঁইয়া জানান, জুয়েল মিয়ার প্রথম স্ত্রীও ভাবির সঙ্গে পরকীয়া মেনে নিত না। এজন্য তাকেও শারীরিক নির্যাতন করত। এর ফলে প্রথম স্ত্রী তার স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে গেছে। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করে সীমা আক্তারকে। সীমাও দেবর-ভাবির পরকীয়া মেনে নিতে পারেনি। এজন্য সীমাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, সীমা আক্তার নামে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জামালপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম