জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালককে গুলি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৫০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক বিশ্বজিত শর্মাকে গুলি করে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে জেলা শহরের হামদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করে তার পেট থেকে একটি গুলি বের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা শহরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একাধিক গোয়েন্দা দল মাঠে নেমেছে।
বিশ্বজিত শর্মা পেশায় কাঠমিস্ত্রি। আগে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ছিলেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামে। বাবার নাম জয়গোপাল শর্মা। জেলা শহরের হামদহ এলাকার ফাতেমা ডায়গনোস্টিক সেন্টার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পেছনে গৌতম নামের এক প্রবাসীর আধপাকা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
বিশ্বজিত শর্মার অসুস্থ স্ত্রী পুতুল রাণী শর্মা জানান, গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বাড়ির পূর্ব পাশের গলি দিয়ে এসে ডাক দেয় তাকে। গভীর ঘুমে থাকায় প্রথমে শুনতে পাননি তিনি। একটু পরেই ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন স্বামী বিশ্বজিৎ মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন এবং তারা মুর্মূষু অবস্থায় বিশ্বজিৎকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের বাড়ির সামনে বড়পর্দায় আর্জেন্টিনার খেলা দেখে বিশ্বজিৎ শর্মা নিজ ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। ওই সময় বাড়ির পাশে ওতপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার পেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় তাকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমানসহ পদস্থরা।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাতিজা রাজিব। উদ্ধার করা সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে তাকে।
অপরদিকে সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তির ব্যক্তিগত সহকারী মধু জানান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে বড়পর্দায় খেলা দেখতে দেখতে হঠাৎ করে বিশ্বজিৎ বাড়ির দিকে রওনা হন। তার সঙ্গে ছিলেন ভাতিজা। তবে বাড়ি পর্যন্ত যাননি তিনি। সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার সূত্র ধরে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন মধু।
জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস রাত পৌনে ৭টার দিকে যুগান্তরকে ফোনে বলেন, বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করেছে। তদন্তে সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বজিৎ আমার ড্রাইভার ছিল। ওকে গুলি করা মানে আমাকে গুলি করা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিবি পুলিশের ওসি মো. শাহীন, শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামানসহ জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত শত্রুতা, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বসহ চারটি বিষয় খতিয়ে দেখছেন কর্মকর্তারা।
