চাঁদপুরের কাউছ মিয়া ২০ বার সেরা করদাতা
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৩৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চাঁদপুরের সন্তান পুরান ঢাকার প্রবীণ ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া এবারো সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী।
২০২১-২২ করবর্ষে ‘সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক’ শ্রেণিতে এই ব্যবসায়ী সেরা করদাতার ১ নম্বর মনোনীত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত সরকারি গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। এ মাসেই সেরা করদাতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড দেবে এনবিআর।
আগের কয়েক বছর অবশ্য তিনি ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমনকি গত বছর মুজিব বর্ষের সেরা করদাতাও হয়েছিলেন কাউছ মিয়া।
গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাকে এ সম্মাননা দিয়েছিল।
মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও এনবিআরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে কর বাহাদুরের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের সময় শীর্ষ করদাতা হয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে কাউছ মিয়া ২০ বার দেশসেরা করদাতার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা লাভের অনন্য মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন।
২০০৮ সাল থেকে কাউছ মিয়া দেশে ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতাদের একজন। গত ৬৪ বছর যাবত কর দিয়ে আসছেন তিনি। প্রথম কর দেন ১৯৫৮ সালে।
চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামে (ব্রিটিশ আমলের ত্রিপুরা জেলা) ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কাউছ মিয়া। তার বাবার নাম মরহুম আব্বাস আলী মিয়া ও মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (জমিদার কন্যা)। বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরানবাজারে স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করেন। দেশের প্রসিদ্ধ এই ব্যবসায়ীর এলাকায় তৎকালীন সময়ে তার ৬টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।
পরে ধীরে ধীরে ১৮টি ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট হয়ে যান। একটানা ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন। ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে যান এবং তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি।
বর্তমানে কাউছ মিয়ার বয়স ৯৩ বছর। দেশের প্রবীণ এই ব্যবসায়ী শীর্ষ করদাতা টানা রাষ্ট্রীয় পুরস্কার অর্জন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন।
