আধুনিক যুগে ক্রেতার নজর কাড়তে ব্যবসায়ীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। কখনো অবাক হয়ে কিংবা চোখ কপালে তুলে সেই কৌশলে বুঁদ হন দর্শনার্থীরা। কোটি টাকার পরী খাটের পর এবার বাণিজ্য মেলায় জাপানি পাইলট কোম্পানির স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া কলমের দাম নির্ধারণ করেছে ২৬ হাজার টাকা।

এমনটা ঘটেছে এবারের ঢাকা বাণিজ্য মেলায়। এক কলমেই বাজিমাত করেছে জাপানি পাইলট ব্র্যান্ডের একটি দোকান। চল্লিশ-পঞ্চাশের কোটায় যাদের বয়স তাদের নিশ্চয় মনে আছে ছাত্রজীবনের বিশেষ বিশেষ পরীক্ষাগুলো এই পাইলট কলম ছাড়া হতো না। পুরোনো স্মৃতিকে খুব ভালো করে মনে করিয়ে দিচ্ছে পাইলট কলমের ওই প্যাভিলিয়ন। 

জাপানি পাইলট কলম ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নতুনভাবে নতুন রূপে স্বর্ণখচিত কলমটির দাম নির্ধারণ করেছেন ২৬ হাজার টাকা! আকর্ষণ করবেই না কেন? কলমটির নিবে রয়েছে ১৮ ক্যারেট মানের সোনার প্রলেপ। সোনার প্রলেপ দেওয়া কলমটি সাধারণত ক্যালিগ্রাফি, কারসিভ ধরনের লেখা, স্বাক্ষর করা, সনদপত্র লেখা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হয়।

বাণিজ্য মেলায় পাইলট ব্র্যান্ডের স্টলে এই কলমটি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

জাপানি কলম প্রস্তুতকারক কোম্পানি পাইলট করপোরেশন এই কলম তৈরি করেছে। দেশে পাইলট কলমের একমাত্র পরিবেশক কিউ অ্যান্ড কিউ ট্রেডিং লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি।

কিউ অ্যান্ড কিউ ট্রেডিংয়ের ব্র্যান্ড নির্বাহী মারজুক আল হক জানান, ৩০ গ্রাম ওজনের কলমটির নিবে রয়েছে ১৮ ক্যারেট মানের সোনার প্রলেপ। এছাড়া কলমটির সঙ্গে থাকছে একটি কালির বাক্স। যেটাতে ৭০ মিলিলিটার কালি রয়েছে। কাস্টম ৮২৩ মডেলের দুই রঙের ফাউন্টেন কলম মেলায় আনা হয়েছে। এর একটি কালো ও অন্যটি কফি রঙের।

পাইলটের স্টলে দামের দিক থেকে এর পর রয়েছে ক্যাপ লেস ফাউন্টেন কলম। এ ধরনের কলমের একেকটির দাম সাড়ে ১০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এই মডেলের কলমের নিবেও ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেটের সোনার প্রলেপ। এ ধরনের কলম রয়েছে ১০ রঙের।

এ ছাড়া মেট্রোপলিটন ফাউন্টেন পেনও বেশ জনপ্রিয় বলে জানান মারজুক আল হক। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও তরুণ বয়সীরা নিজস্ব লেখালেখির কাজে ব্যবহার ও উপহারের জন্য এই ধরনের কলম বেশি কেনেন। এ ধরনের একেকটি কলমের দাম ২ হাজার ২০০ টাকা। তবে সাধারণ লেখালেখির জন্য পাইলটের ভি-সিরিজের কলমগুলো সব বয়সিদের কাছে বেশ সমাদৃত বলে জানান মারজুক। ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত এসব কলমের দাম।

চলতি ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকার উপকণ্ঠ পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) চলছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি এ মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।