পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন, অতঃপর...
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে শাহরিয়ার হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে অনশন শুরু করছেন এক কলেজছাত্রী। তিনি মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী।
অনশনরত ওই ছাত্রীকে বাড়িতে খোলা আকাশের নিচে একা রেখে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ির লোকজন চলে গেছেন। ওই ছাত্রী নিরুপায় হয়ে পুলিশের ট্রিপল নাইনে ফোন দেন। এরপর পুলিশের এএসআই মজিবর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অনশনরত ওই ছাত্রীকে পাশের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারেকের বাড়িতে নিরাপদ হেফাজতে রেখে যান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের ভালুম বাথুলী এলাকায়।
অনশনরত ওই ছাত্রী জানান, ভালুম বাথুলী গ্রামের মো. সেলিম হোসেনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল শাহরিয়ার হোসেনের সঙ্গে আমার প্রায় ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাসে আমাকে কালামপুর স্বপ্ন বিলাস রিসোর্টে নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল শাহরিয়ার হোসেন আমার সঙ্গে মেলামেশা করেছে বহুবার। এছাড়া সাভার ও মানিকগঞ্জে আবাসিক হোটেলেও অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছে। এখন সে তার মা-বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করার কথা জানালে আমি তার বাড়িতে চলে আসি।
তিনি বলেন, আমাকে তার বাড়িতে দেখে পরিবারের সবাই ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে আমাকে খোলা আকাশের নিচে রেখে চলে যান। আমি কোনো উপায়ন্তর না দেখে পুলিশের ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে ধামরাই থানার এএসাই মো. মজিবর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি আসেন। বাড়িতে কাউকে না দেখে পাশের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারেকের বাড়িতে আমাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখেন। আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাব। আমার বাবার বাড়ি থেকে আমি একেবারেই চলে এসেছি। আমার আর ওই বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল শাহরিয়ারের চাচা মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্টু বলেন, আমার ভাতিজা বাড়িতে নেই। বাড়ির লোকজনও ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এমতাবস্থায় চাইলেও তো বিয়ে সম্ভব নয়। এখন মেয়ে যদি তার বাবার বাড়ি ফিরে যায়, তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে। এভাবে তো আর বিয়ে হতে পারে না।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার এএসআই মো. মজিবর রহমান বলেন, অনশনরত ছাত্রী পুলিশের ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে আসি। বাড়িতে কোনো লোকজন নেই। ঘরের দরজায় ঝুলছে তালা। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে মেয়েটিকে পাশের বাড়িতে হেফাজতে রাখা হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
