Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সাবেক স্বামীর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৪ পিএম

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সাবেক স্বামীর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক নারী (৪২) তার সাবেক স্বামীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার খলিফার হাট সংলগ্ন একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।    

সাবেক স্বামী অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন মিলন (৫০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বারাহীদিঘী এলাকার বাসিন্দা। 

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ভিকটিম সৌদি আরব থাকাকালে মিলন নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এর আগেই তিনি বিভিন্ন সময় তার এই সাবেক স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা দেন। পরে সৌদি আরবে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

বুধবার বিকালে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ওই পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ঢাকা থেকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট এলাকায় আসেন। সেখানে সাবেক স্বামী তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে দেন। গাড়িতে উঠে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে পথে নেমে গিয়ে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যান।

একপর্যায়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি সোনাইমুডী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। সোনাইমুড়ী  থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ঘটনাস্থল সুধারাম থানা এলাকায় হওয়া ভিকটিমকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক মিলনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ব্যস্ত পাওয়া যায়। এমনকি এলাকায় গিয়েও তাকে না পাওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, সাবেক স্বামীর সঙ্গে এক নারীর কিছু একটা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।   

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী মৌখিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে- সাবেক স্বামীর কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক মেলামেশা করে। ভিকটিম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নোয়াখালী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম