একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাকে (৮৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার রাতে তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে যুগান্তরকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানা পূর্বধলার মৌদাম গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে। 

র‌্যাব-৩ ঢাকার এএসপি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের দিকনির্দেশনায় র‌্যাব-৩ এর সিনিয়র এএসপি অভিজিত দাস মাদারীপুরের একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।

পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, মজিদ মাওলানাসহ নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সাত আসামি ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা করে তার মৃতদেহ কংস নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলা করেন শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের। ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

তিনি জানান, একাত্তরে মজিদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ ছিল। মজিদ মাওলানা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেজামে ইসলামীর নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন।