‘বাচ্চাটাকে দেখে রেখো’ বলেই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন গৃহবধূ
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাবাকে ফোন করে সন্তানকে দেখে রাখার কথা বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন সাথী বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ। যশোরের অভয়নগরে আন্ত:নগর বেনাপোল বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশের রেল ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাথী বেগম উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের রকি শেখের স্ত্রী। তিনি ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা রেল স্টেশন কলোনির মহিরুল ইসলাম বাবলুর মেয়ে। তিনি সকালে বাবার বড়িতে এসেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাচ্ছিল। এ সময় ওই গৃহবধূ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পিতা মহিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, সাথী সকালে বাড়িতে এসে তার পুত্র সন্তান আলিফকে (২) আমাদের কাছে রেখে রাজঘাট বাজার এলাকায় যাওয়ার কথা বলে। পরে তার মোবাইল থেকে বেলা ১১টায় আমাকে মোবাইল ফোনে জানায়- আমার বাচ্চাকে দেখে রেখ। এরপর থেকে ওই মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। দুপুর ১২টার সময় জানতে পারি বেনাপোল বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমার মেয়েকে জামাই রকি শেখ বেশ কিছু দিন ধরে তার মেয়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি ও মারপিট করে আসছিল। যার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রেললাইন থেকে লাশের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
যশোর রেল পুলিশের এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
