Logo
Logo
×

সারাদেশ

তালতলীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় গৃহবধূকে মারধর গরম রডের ছ্যাঁকা

Icon

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫২ পিএম

তালতলীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় গৃহবধূকে মারধর গরম রডের ছ্যাঁকা

ফাইল ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লালুপাড়া গ্রামে শুক্রবার রাতে পাওনা টাকা চাওয়ায় গৃহবধূ জাহানারাকে ঘরে আটকে গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই গৃহবধূকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা শনিবার সকালে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লালুপাড়ায় অব্দুল খালেক হাওলাদারের চার ছেলের মধ্যে বাবুল হাওলাদার বাদে তিন ছেলে মালয়েশিয়া থাকেন।  প্রবাসী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী রাজিয়া বেগম তার জা জাহানারা বেগমের মাধ্যমে জাহানারার ভাই হাবিব চৌকিদারের ছেলে শাহিনকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ২০২১ সালের ১৬ জুলাই তিন লাখ টাকা আনেন।  টাকা নেওয়ার পর তারা শাহিনকে বিদেশে না পাঠিয়ে ঘুরাতে থাকেন।  এ নিয়ে পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বাবুল হাওলাদার এবং তার স্ত্রী বাদে পরিবারের সবাই এক পক্ষ হয়-যাতে তাদের নেওয়া তিন লাখ টাকা ফেরৎ দিতে না হয়।  সেজন্য বাবুল এবং তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে।  বাবুলের মা একপর্যায়ে বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতে চুরি মামলা করেন।  মামলায় বাবুল বৃহস্পতিবার জেলহাজতে যায়। 
পরের দিন শুক্রবার রাতে জাহানারা বেগম তার জা রাজিয়া বেগমের কাছে টাকা চাইতে গেলে রাজিয়া বেগম, তার শাশুড়ি সেতারা বেগম, ননদ জেসমিন বেগম ও ভাসুর আবুল হোসেন জাহানারা বেগমকে ঘরে আটকে মারধর করেন।  এক পর্যায়ে চুলায় রড পুরিয়ে গরম করে জাহানারা বেগমের গাল, পিঠ, দুই  হাত ও পায়ে ছ্যাঁকা দেন। রডের ছ্যাঁকায় জাহানারা বেগমের গাল, হাত-পায়ে এবং পিঠের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকা পরে কালো দাগ হয়ে ফুলে ওঠে। গুরুতর এই নির্যাতনের সময় জাহানারা বেগম ডাক চিৎকার দিলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ১১টায় জাহানারা বেগমের ভাই নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিব চৌকিদার তার বোনকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরের দিন শনিবার সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযুক্ত সেতারা বেগম, রিজিয়া বেগমের পক্ষে ভাসুর আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কাছে কোনো টাকা পয়সা পাবে না। এ ছাড়া জাহানারা বেগমকে আমরা কোনো মারধর করিনি। আমাদের হয়রানি করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. লুনা বিনতে হক বলেন, জাহানারা বেগমের শরীরে আগুনে পুরে ফোসকা পড়ার অনেক দাগ রয়েছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।

বরগুনা ওসি তালতলী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম