যুগান্তরের ২ যুগের পাঠক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল খালেক
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:১৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকেই তিনি একজন নিয়মিত গ্রাহক ও পাঠক। গত দুই যুগ ধরে দেশে অনেক পত্রিকার জন্ম হলেও তিনি যুগান্তরই পড়েন।
মঙ্গলবার সকালে যুগান্তর প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ওই পাঠকের। তিনি যুগান্তরের শুধু একজন পাঠকই নন; তিনি একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম মো. আবদুল খালেক তালুকদার। বর্তমানে তিনি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
আলাপচারিতায় তিনি জানান, যুগান্তর পত্রিকাটি শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে আজ ২ যুগে পদার্পণ করেছে। নুরুল ইসলাম; যিনি পত্রিকাটি বের করেছেন তিনিও ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যুগান্তর পত্রিকাটি শুরু থেকেই সাহসিকতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। কোনো দিন এ পত্রিকাটি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। আমি শুরু থেকেই যুগান্তরের একজন নিয়মিত পাঠক। দেশে-বিদেশে— এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সংবাদ এই পত্রিকাটিতে পাওয়া যায়। দেশে অনেক পত্রিকা থাকলেও একদিন এই পত্রিকাটি না পড়লে মনে হয় যেন, পত্রিকাই পড়া হয়নি। তা ছাড়া নুরুল ইসলামের রেখে যাওয়া যমুনা গ্রুপে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়েও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রগতির পথে যুগান্তর সহযোগীর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।
তা ছাড়া সারা দেশে পত্রিকাটির যুগান্তর ‘স্বজন সমাবেশ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন আছে। এটি কলমাকান্দা উপজেলায় বেশ সক্রিয় একটি সংগঠন। ওই সংগঠন শুধু যুগান্তরের জন্মদিনই পালন করে না। তারা সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষকে মূল স্রোতে ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দুর্যোগেও তারা মানুষের পাশে থাকে; সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে করোনা মহামারি ও গত বন্যায় স্বজন সদস্যদের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। আমি এই সংগঠনের প্রায় অধিকাংশ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। কাছে থেকে দেখেছি তাদের কার্যক্রম। তাই যুগান্তরের পাশাপাশি আমি স্বজন সমাবেশকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
