সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে তৈমুরের সাক্ষী
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শাম্মী আক্তারের আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আদালত তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম জানান, সাব্বির হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন পর বাদী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আশা করছি, মামলা নিষ্পত্তি করতে বাদীপক্ষ ও সরকার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করে বিচার কাজে সহযোগিতা করবে।
আসামি জাকির খানের আইনজীবী রবিউল হোসেন বলেন, বাদীকে জেরা শেষ হয়নি। আদালতের কাছে আরও একদিন বাদীকে জেরা করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আশা করি, ৬ মার্চ বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হবে।
জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।
মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন জমা দেন।
নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বিএনপির তৎকালীন সময়ের এমপি গিয়াসউদ্দিনকে সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক হিসেবে অভিযুক্ত করেন। তারই অভিযোগে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর থেকে ৬ বছর নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) মামলার শুনানি চলে। এরপর হঠাৎ রহস্যজনক কারনে তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে দাখিলকৃত নারাজি পিটিশনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
নারাজি পিটিশন প্রত্যাহারের মূল উদ্দেশ্য ছিল, মামলায় প্রধান আসামি করা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াসউদ্দিনকে বাঁচিয়ে দেওয়া। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৈমুরের পক্ষে গিয়াসউদ্দিন সর্বাত্মক কাজ করবে এমন শর্তসাপেক্ষেই তৈমুর নারাজি পিটিশন প্রত্যাহার করে নেন। অথচ হত্যার পর থেকে তৈমুর ও তার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যার মূল নায়ক।
নারাজি পিটিশন প্রত্যাহারের কারণে গিয়াসউদ্দিন এ মামলায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান। ফলে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তার ওপর ভিত্তি করেই মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে।
