জেল থেকে বেরিয়েই ধর্ষণের পর সোনা মিয়ার মৃত্যু, ২ তরুণী আটক
ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জেল থেকে বেরিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের পরই সোনা মিয়া (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই তরুণীকে (২০) ও (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। শহরের নিউটাউন এলাকার অগ্নিবিনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সোনা মিয়া নিউটাউন এলাকার মৃত আবদুল করিম মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় ২ তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোনা মিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। এলাকার বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত তিনি। গত দেড় মাস আগে গাজীপুরের কালিগঞ্জে গাঁজাসহ সোনা মিয়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান। দেড়মাস জেল খেটে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে ভৈরবের বাড়িতে আসেন।
এদিন রাত প্রায় ২টায় তার সঙ্গী শামীমকে নিয়ে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে দুই পতিতাকে নিউটাউন এলাকার অগ্নিবীনা কিন্ডারগার্টেনে নিয়ে আসেন। রাত ৩টায় সেখানে এনে উত্তেজনাকর ট্যাবলেট খেয়ে (২০) কে তিনি ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ইয়াবা সেবন করে তিনি কোনো এক সময় দেয়ালে লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনার পর তার সঙ্গী শামীম সোনা মিয়ার বোনকে তৎক্ষনাৎ ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে রাত পৌনে ৪টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ওই তরুণী জানান, সোনা মিয়া রাত সাড়ে ৩টায় আমাকে রেলস্টেশন থেকে জোরপূর্বক ধরে এনে স্কুলের কক্ষে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের আগে সে উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন। পরে আমি রুমের বাইরে আসার কিছুক্ষণ পর দেখতে পায় সে মাথায় আঘাত পেয়েছে।
আরেক তরুণী জানান, ঘটনার সময় সে প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা সেবন করে মাতাল হয়ে গিয়েছিল। আমার ধারণা, দেয়ালে পড়ে তার মাথায় আঘাত পেয়েছে।
নিহতের বড় ভাই মো. হাবিবুর রহমান জানান, আমার ভাই মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। একটি মাদক মামলায় দেড়মাস জেল খেটে মঙ্গলবার কারাগার থেকে বের হয়ে এদিন রাত সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটায়। তার মাথায় কিভাবে আঘাত পেল তা আমরা জানতে পারিনি।
ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। কিভাবে সে মাথায় আঘাত পেয়েছে তা দুই তরুণী বলতে পারছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
