এনজিওর ৩৫ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ নারী গ্রেফতার

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম

এক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ চায়না বেগম নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানা পুলিশ। ঢাকার আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানায় মঙ্গলবার রাত ৯টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভৈরব উপজেলার তেয়ারীরচর গ্রামে ওই নারীর বাপের বাড়ি।
ভৈরব থানাহাজতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ওই নারী বলছিলেন- এনজিও কর্তৃপক্ষ আমার কাছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আর্থিক সংকটে টাকা পরিশোধ করতে পারছি না।
ঋণ গ্রহণকারী চায়না বেগম থানা হাজতে কেঁদে কেঁদে যুগান্তর প্রতিনিধির কাছে আর্তনাদ করে বলছিলেন- আমাকে জেল থেকে বাঁচান। শুনেছি দেশে শিল্পপতিরা হাজার হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেন না। আমি অসহায় নারী। গার্মেন্টে কাজ করে কোনোরকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।
চায়না বেগম জানান, তার স্বামীর নাম তারা মিয়া। তার বাড়ি ঢাকা জেলার জয়পাড়া এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে ওই এলাকায় থাকতেন তিনি। স্বামী ব্যবসা করতেন। দুই বছর আগে স্বামীর ব্যবসার সহযোগিতার জন্য তিনি সেই এলাকার একটি এনজিও থেকে ৯০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরে ৫ কিস্তিতে ৪৫ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করেন তিনি। এরপর সংসারের কলহে স্বামী তাকে তালাক দেন। এনজিওতে তার হিসেবে ১০ হাজার টাকা জামানতও আছে। এ হিসাবে আর ৩৫ হাজার টাকা এখনো পায় এনজিও কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, এখন একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন তিনি। যে বেতন পান তা দিয়ে সংসারই চলে না তার। কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবে। তবে কিছু সময় দিলে ঋণের টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা আছে তার। এরই মধ্য কর্তৃপক্ষ পাওনা টাকার জন্য আদালতে মামলা দিয়েছে। এ কারণে তার নামে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তার বাবার বাড়ির ঠিকানা ভৈরব থানায় পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি জানতাম না তারা মামলা করেছে। বাড়িতে বেড়াতে আসলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ভৈরব থানার ওসি মাকসুদুল আলম জানান, চায়না বেগমের নামে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা এসেছে থানায়। ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় এনজিও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করেছি।