নরসিংদীর রায়পুরায় বাশঁগাড়ী ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের চলা আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচনি বিরোধের জেরে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে সাবেক বাঁশগাড়ির চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের লোকজনের বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও কোনো প্রতিকার না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ জানায়, কোনো অভিযোগ তারা পাননি।

শুক্রবারভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের চলা আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক উভয়গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। 

এরই জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবারবাশঁগাড়ি ইউনিয়নের বড় জুরবিলা ঘাটে নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

তবে এ হত্যার ঘটনায় বাঁশগাড়ির বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকিরকে প্রধান আসামিসহ আরও ৪৪জন ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় একটি মামলা করে নিহতের স্ত্রী রীনা। 

মামলা করার পর জাকির চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজনেরা মামলার ভয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। এতেসাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের অন্য লোকজন ও নিহতের স্বজনরা মিলে তাদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ অভিযোগ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির সমর্থকরা।

ভুক্তভোগী আছিয়া খাতুন বলেন, স্বপন হত্যার পর প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের দলের লোকজনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটসহ হত্যার হুমকি দেয়। ভয়ে নারী শিশুরা স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। ফাঁকা বাড়ি পেয়ে তারা প্রতিনিয়ত ভাঙচুর সরকারি টিউবওয়েলসহ জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। 

এব্যাপারে কোনো অভিযোগ বা মামলা করেছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমার ননদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। 

রায়পুরা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, এমন কোনো সংবাদ পাইনি। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।