হাইড্রোলিক হর্ন লাগানো থাকলে সেসব গাড়ির অনুমোদন না দেওয়ার আহবান করা হয়েছে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সড়কে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হর্ন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

বুধবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রাত ১০টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে পারলে ভালো হয়। অনুষ্ঠানের শব্দ চার দেওয়ালের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করলে দূষণ অনেক কমে যাবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অহেতুক বেশি ও উচ্চশব্দের যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অযথা হর্ন বাজানো, হাইড্রোলিক হর্ন পরিহার করতে হবে। পরিবহন মালিক ও ব্যবহারকারীরা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিধিমালা যুগোপযোগীকরণ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইমাম ও পুরোহিতসহ সব ধর্মীয় নেতাকে শব্দদূষণ রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন হবে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা জনগণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল সংকট আছে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চাই। হাইড্রোলিক হর্নের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেওয়ার সময় হাইড্রোলিক হর্ন ও অধিকমাত্রার হর্ন ব্যবহারকারী যানবাহনকে অনুমতি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এ সময় হাইড্রোলিক হর্ন ও শব্দদূষণের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য মাঠ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশমন্ত্রী।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পরিবেশ, বন ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. ইকবাল, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও খুলনা মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান।