এক মাস না খেয়ে থাকা বাঘটি মারা গেছে

 শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি 
১৫ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ট্রিপোনোসোমিয়াসিস, লিভার ডিজিজ ও যক্ষাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এক মাস না খেয়ে থাকা বাঘটি মারা গাছে।

বুধবার সকাল ১০টার সময় বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান হাসান।

তিনি জানান, ট্রিপোনোসোমিয়াসিস, লিভার ডিজিজ ও যক্ষাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে।

অসুস্থ বাঘটির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাঘটির স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্রমসই সংকটাপন্ন হচ্ছিল এবং অবশেষে বাঘটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাঘটি কোনো অবস্থাতেই দাঁড়াতে পাড়ছিল না। প্রায় দেড় মাসের অসুস্থতা এবং এক মাসের না খাওয়ায় বাঘটির শরীর মাংস শূন্য হয়ে শুকিয়ে কঙ্কালের মতো হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে কোনো অবস্থাতেই বাঘটি বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বনসংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্ক প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা বাঘগুলোর মধ্যে একটি মাদি বাঘ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগে আসছিল। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে বাঘটি খাদ্যগ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘটি খাবার গ্রহণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়। মাঝে মধ্যে পানি খেলেও মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল বাঘটি। অসুস্থ বাঘটি ঢাকার কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাবেক প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার এবিএম শহীদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যায়। বুধবার বাঘটির মৃত্যুর পর পার্কেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করেন।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছর জানুয়ারিতে পার্কে একটি বাঘ মারা যায়। বর্তমানে সাফারি পার্কে বাঘের সংখ্যা ৮টি, তার মধ্যে ৫টি মাদি ও ৩টি পুরুষ।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন