দুই কন্যাকে দেখতে এসে কর্মস্থলে ফেরা হলো না ব্যাংকার রাশেদের
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১০:২৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ছুটিতে দুই কন্যাকে দেখতে এসেছিলেন ব্যাংকার রাশেদ আলী। কিন্তু আর ফিরে যাওয়া হলো না কর্মস্থলে। মাদারীপুরের শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় রাশেদ আলী (৩৮) নিহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসে থাকা রাশেদ আলীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রাশেদ আলী ঢাকার মতিঝিল শাখার ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার। তিনি সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার সখিপুর এলাকার বাসিন্দা। তার পরিবারে স্ত্রী সাহানাজ ইয়াসমীন সাথী ও সারা (৮) এবং সাফা (৫) নামের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাশেদ আলী ছুটি কাটিয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। তাকে বহন করা ইমাদ পরিবহণের বাসটি মাদারীপুরে শিবচর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ১৪ জন মারা যান এবং পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুইজন মারা যান।
নিহতের শ্যালক শামস জেবিন বলেন, দুলাভাই ছুটিতে তার আদরের দুই কন্যাকে দেখতে বাসায় এসেছিলেন। রোববার নিজ কর্মস্থলে ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনায় মারা যান। আমার আপার ছোট ছোট দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমরা চাই সড়ক নিরাপদ হোক। আমার মতো কেউ এভাবে আর স্বজন না হারাক।
তার আরেক শ্যালক বলেন, মাঝে মাঝেই সড়কে মৃত্যুর মিছিল হয়। কিন্তু কারো বিচার হয় না। যে কারণে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রভাবশালী মালিকরা আইনের ঊর্ধ্বে থাকে। আমি চাই আমার দুলাভাইয়ের মতো যারা অকালে প্রাণ হারাল তাদের কঠোর বিচার হোক। তাহলে আমাদের শান্তি হবে। আর দুই সন্তানকে যেভাবে রেখে গেছেন, সরকার তাদের দিকে নজর দেবে বলে আশা রাখি।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহণের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় নারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
