চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক কাদায় পিচ্ছিল, ভোগান্তি
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাটির প্রলেপ জমেছে। গত কয়েক মাস ধরে ইটভাটার জন্য ট্রাকে পরিবহণের সময় সড়কে নরম ও কাদাযুক্ত মাটি পড়তে পড়তে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আর মাটির ওই প্রলেপের ওপর রোববার সকালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো সড়ক হয়ে যায় পিচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্যে এ সড়ক পরিণত হয় মরণফাঁদে। এর ফলে সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।
এ সময় সড়কের দুপাশে ৪-৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ যাত্রী ও পথচারীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। দুপুরে বৃষ্টির ফোঁটা কমলে সড়ক কিছুটা শুকিয়ে যাওয়ার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীর দোকান, নয়াখাল, আন্দার মা'র দরগাহ ও কেরানীহাট গরুর বাজারে গাড়ি যানজটে আটকে পড়ায় সড়ক পথে চলাচলরত পর্যটক ও যাত্রীরা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। কিছু গাড়ি পিচ ঢালাসড়ক থেকে নিচে মাটিতে নেমে যাচ্ছে।
বাসের যাত্রী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সড়কে মাটির প্রলেপ জমেছে কয়েক মাস ধরে। রোববার সকালে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি হলে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে সড়কে দীর্ঘ যানজটে কেরানীহাট থেকে চট্টগ্রাম যেতে এক ঘণ্টা পরিবর্তে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
কালিয়াইশের বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ বাবুল জানান, কেঁওচিয়া, তেমুহনী ও কালিয়াইশের বিল থেকে মাটি কেটে মহাসড়ক দিয়ে পরিবহণ করায় সড়কে মাটি পড়ে। রোববার সকালে সামান্য বৃষ্টি হলে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। আমি জরুরি কাজে উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য বের হয়। কাঁদায় সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় মৌলভীর দোকান থেকে কোন রকম হেঁটে অনেক কষ্টে কেরানীহাট পৌঁছায়। এ সময় দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।
একটি বাসের সুপারবাইজার এনামুল হক বলেন, মাটি পরিবহণের ফলে বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় যানজটে আটকা পড়েছি ৩ ঘণ্টা ধরে। যাত্রীরা নেমে হেঁটে গেছেন। চলতে গিয়ে গাড়ি সড়ক থেকে নেমে যাচ্ছে। সড়ক দিয়ে মাটি পরিবহণ বন্ধ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, সকালে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সড়কে একটু ধীরগতিতে চলেছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক কাদায় পিচ্ছিল, ভোগান্তি
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৯ মার্চ ২০২৩, ২২:৩৯:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাটির প্রলেপ জমেছে। গত কয়েক মাস ধরে ইটভাটার জন্য ট্রাকে পরিবহণের সময় সড়কে নরম ও কাদাযুক্ত মাটি পড়তে পড়তে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আর মাটির ওই প্রলেপের ওপর রোববার সকালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো সড়ক হয়ে যায় পিচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্যে এ সড়ক পরিণত হয় মরণফাঁদে। এর ফলে সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।
এ সময় সড়কের দুপাশে ৪-৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ যাত্রী ও পথচারীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। দুপুরে বৃষ্টির ফোঁটা কমলে সড়ক কিছুটা শুকিয়ে যাওয়ার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীর দোকান, নয়াখাল, আন্দার মা'র দরগাহ ও কেরানীহাট গরুর বাজারে গাড়ি যানজটে আটকে পড়ায় সড়ক পথে চলাচলরত পর্যটক ও যাত্রীরা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। কিছু গাড়ি পিচ ঢালাসড়ক থেকে নিচে মাটিতে নেমে যাচ্ছে।
বাসের যাত্রী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সড়কে মাটির প্রলেপ জমেছে কয়েক মাস ধরে। রোববার সকালে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি হলে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে সড়কে দীর্ঘ যানজটে কেরানীহাট থেকে চট্টগ্রাম যেতে এক ঘণ্টা পরিবর্তে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
কালিয়াইশের বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ বাবুল জানান, কেঁওচিয়া, তেমুহনী ও কালিয়াইশের বিল থেকে মাটি কেটে মহাসড়ক দিয়ে পরিবহণ করায় সড়কে মাটি পড়ে। রোববার সকালে সামান্য বৃষ্টি হলে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। আমি জরুরি কাজে উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য বের হয়। কাঁদায় সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় মৌলভীর দোকান থেকে কোন রকম হেঁটে অনেক কষ্টে কেরানীহাট পৌঁছায়। এ সময় দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।
একটি বাসের সুপারবাইজার এনামুল হক বলেন, মাটি পরিবহণের ফলে বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় যানজটে আটকা পড়েছি ৩ ঘণ্টা ধরে। যাত্রীরা নেমে হেঁটে গেছেন। চলতে গিয়ে গাড়ি সড়ক থেকে নেমে যাচ্ছে। সড়ক দিয়ে মাটি পরিবহণ বন্ধ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, সকালে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সড়কে একটু ধীরগতিতে চলেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023