যেভাবে ভারতে পাচার করা হয় দুই কিশোরীকে

 রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি 
১৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করা দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর বর্ডার এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত কিশোরীদের বাড়ি নরসিংদী ও দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, গত ১ জানুয়ারি দুই তরুণীকে মানবপাচারকারীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এক তরুণীর মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা ও ভুক্তভোগীদের হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলার সূত্র ধরে নবী মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে পাচার হওয়া দুই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরী বলেন, আমরা রূপগঞ্জ উপজেলার একটি কারখানায় চাকরি করতাম। চাকরির সুবাদে রশিদ নামের যুবকের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। গত ১ জানুয়ারি রশিদ আমাদেরকে বিউটি পার্লারে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাকরি দিয়ে বিদেশে পাঠাবে বলে প্রথমে চিটাগাংরোডে নিয়ে যান। পরে সেখানে থাকা নবী মিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে তারা আমাদেরকে গুলিস্তান বাসস্টেশনে নিয়ে যান।

তারা বলেন, এরপর তাদের আরেক সহযোগী শাকিলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে শাকিলসহ ঢাকার বাড্ডা এলাকায় কাগজপত্র করার কথা বলে নিয়ে যান। রাতে বাসে করে যশোর নিয়ে যান। পরে যশোর থেকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর বর্ডার এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার করে দেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারি তারা আমাদেরকে খারাপ কাজের উদ্দেশ্যে ভারতের দুজন লোকের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। আমরা তখন বুঝতে পারি যে আমাদেরকে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে পাচার করে দেয়া হয়েছে। বহু কৌশলে তাদের হাত থেকে ভারতের বনগাঁ জেলার মৌসুমপুর বর্ডার এলাকার পরিতোষের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই।

আশ্রয়কৃতের মোবাইলে আমাদের পরিবারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে পুলিশ আমাদেরকে ভারত থেকে বিভিন্ন কৌশলে এনে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর বর্ডার এলাকা থেকে উদ্ধার করেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন