সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার রোজা রাখবেন ৪০ গ্রামের মানুষ
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ)-এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বৃহস্পতিবার রোজা রাখবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আক্তার হোসাইনের পুত্র সৈয়্যেদ শাহ নূরে আতা মোর্শেদ নওশাদ শাহ।
সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রধান গদিনশিন পীর ও আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মরহুম খাজা শাহ্সূফী সৈয়্যেদ নূরে আক্তার হোসাইনের পুত্র সৈয়্যেদ শাহ নূরে আতা মোর্শেদ নওশাদ শাহ জানান, বুধবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রোজা শুরু হবে। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী (রাঃ)-এর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান বৃহস্পতিবার রোজা রাখবেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্ত ও মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুস সামাদ সরদার জানান, মাদারীপুরে হুজুরের মতানুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম রোজা রাখবেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, আউলিয়াপুর, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের পাচ্চর, স্বর্ণকারপট্রিসহ মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথম রোজা রাখবেন।
সুরেশ্বর পীরের ভক্তদের মতে, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাছাড়া মক্কা শরীফ থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা। তাই মক্কাবাসীসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানরা যেদিন রোজা রাখেন তারাও সেদিন থেকে রোজা করে থাকেন। তারা মনে করেন, ৩ ঘণ্টা সময়ের পার্থক্যের জন্য ২৪ ঘণ্টা পার্থক্য মানা যুক্তিযুক্ত নয়।
উল্লেখ্য, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী (রাঃ)-এর অনুসারীরা প্রায় দেড়শ বছর আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।
