|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকার নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের ভাঙ্গাভিটাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে এ বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। সবুজ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদের আবহ। যেদিকেই চোখ যায় কেবল বাঙ্গি চাষের সমারোহ দেখা মেলে। তাই বাঙ্গি চাষিদের মুখে এবার হাসি দেখা গেছে। ভাঙ্গাভিটা গ্রামে এখন সকাল ও বিকাল বসছে বাঙ্গির হাট। ইচ্ছামতির তীর জুড়েই যেন নৌকাভর্তি বাঙ্গি যাচ্ছে বিভিন্ন হাট বাজারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বছর বাঙ্গির উৎপাদন ও ভালো দামের কারণে চাষিরা এখন তৃপ্তির হাসি হাসছেন। উৎপাদিত ফসল নিয়ে আশায় বুক বাধছেন কৃষকরা।
অল্প পুঁজিতে ভালো মুনাফা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার মানুষ বাঙ্গি চাষ করে আসছেন বলে জানান স্থানীয় ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য জীবন মণ্ডল।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় এ বছর প্রায় ১৫০০ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাঙ্গাভিটা, দৌলতপুর, কৈলাইল ও পাশের খারশুল গ্রাম রয়েছে। তবে ভাঙ্গাভিটা গ্রামেই বেশি চাষ হয় বাঙ্গির।
ভাঙ্গাভিটা এলাকার বাঙ্গি চাষি পরিমণ্ডল জানান, প্রায় পাকিস্তান আমলের শুরু থেকেই এ অঞ্চলে বাঙ্গি চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ মৌসুমি ফলটির উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ছে। প্রতি বিঘা জমিতে বাঙ্গি উৎপাদনে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি বাবদ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আসে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে কৃষকদের খরচ কম হবে ও তারা বেশি লাভবান হতে পারবেন বলে জানান তিনি।
ভাঙ্গাভিটা এলাকার বাঙ্গিহাটের পাইকারি ক্রেতা রুবেল শেখ ও মান্নান বলেন, ‘প্রতি পিস বড় সাইজের বাঙ্গি ৫০ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। মজুরি ও গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে প্রতিটি বাঙ্গিতে সর্বোচ্চ ৫-১০ টাকা লাভ থাকলেই বিক্রি করে দিই।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে ২১৫ হেক্টরের অধিক জমিতে বাঙ্গির চাষ হয়েছে। বাঙ্গিতে শর্করা, ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় বাজারে এর ভালো চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কম সুগার থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় এখন বাঙ্গি। কৈলাইল ইউনিয়নে উৎপাদিত বাঙ্গি দোহার নবাবগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাতে বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া নদী পথে এ অঞ্চলের বাঙ্গি ও সবজি শ্যাম বাজার, আমিন বাজার ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বেচা-বিক্রি হয়ে থাকে।
