Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

Icon

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কালীশংকরপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আরিফুল মোল্যা (৩৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার বাদীকে চাপে ফেলতে নিজের দলের এক গৃহবধূকে (৩৮) পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে আকিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। আকিদুল মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। আরিফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয় আকিদুল ইসলামকে।

জানা যায়, হত্যা মামলা থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে বাদীপক্ষকে চাপে ফেলতে আকিদু্ল পরিকল্পিতভাবে নিজ দলের এক গৃহবধূকে জরুরি ফোনে আলফাডাঙ্গা উপজেলার আটকবানা গ্রামে আসতে বলেন। ১৯ মার্চ আকিদুল ভাড়া করা মোটরসাইকেলযোগে ওই গৃহবধূকে রাত ১০টার দিকে আটকবানা গ্রামের একটি মাঠে আনা হয়। পরে আকিদুল ইসলাম, আতর আলী গাজী, কাবুল শেখ, মোশারফ রনজুসহ কয়েকজন সহযোগী মিলে ওই নারীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেন।  এর পর ইউপি সদস্য আকিদুল তার প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করার জন্য ওই গৃহবধূকে চাপ দেন। মামলা না করলে তার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে ওই গৃহবধূ থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে বিস্তারিত জানিয়ে দিলে ২২ মার্চ ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন তিনি। ওই গৃহবধূর বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা কালীশংকরপুর গ্রামে। তবে ধর্ষণের ঘটনাটি আলফাডাঙ্গা উপজেলার মধ্যে হওয়ায় তাকে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করতে হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আবু তাহের যুগান্তরকে বলেন, আরিফুল হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। পরে গৃহবধূ ইউপি সদস্য আকিদুল ইসলামসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। আতর আলী গাজী নামে এক আসামিকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিপক্ষ ইউপি গৃহবধূ ধর্ষণ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম