গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে উত্তরবঙ্গসহ ২৩ জেলার মানুষ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরলেও তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ঈদুল আযহায়। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা পুলিশ।

বুধবার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের সভা কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সরোয়ার আলম, এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নুর এ আলম সিদ্দিকী, সাসেক-২ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহা. রবিউল আওয়াল, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন, মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সরকার, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শরীফ হাজারী প্রমুখ।

বক্তারা ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। দুই মাস আগেই এলেঙ্গা ফুটওভার ব্রিজ অপসারণ করার কারণে ঈদে স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি হতে পারে। দুর্ভোগ লাঘবে সড়ক বিভাগ, সেতু কর্তৃপক্ষ ও পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করতে দুই পাশের সোল্ডার রাস্তা মেরামতসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি সাপেক্ষে সড়ক স্বাভাবিক রাখতে দুটি বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। সার্ভিস লেনে চলাচলরত থ্রি হুইলারসহ ছোট যানবাহন যাতে মহাসড়কে উঠতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেওয়া আছে। ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন সেজন্য মহাসড়কে সাত শতাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন।