বন্ধ হয়ে গেল ঝালকাঠি-ঢাকা-চাঁদপুর রুটে লঞ্চ চলাচল
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যাত্রী সংকটের কারণে ঝালকাঠি-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। মঙ্গলবার বিকাল থেকে সুন্দরবন-১২ ও ফারহান-৭ নামের দুটি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ সন্ধ্যা ৬টায় ঝালকাঠি ঘাট থেকে চাঁদপুর ও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত। আবার ঢাকা সদরঘাট থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে আসত একটি লঞ্চ।
হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কিছু নিয়মিত যাত্রীরা। এছাড়াও ঘাটে দিনমজুরের কাজ করা শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যেই সময় ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে পুরো লঞ্চঘাট এলাকা, ঠিক সেই সময় সুনসান ভেসে আছে জনমানবশূন্য বিশালাকৃতির দুটি টার্মিনাল। ঈদকে সামনে রেখে ঘাট সংলগ্ন দোকানিরাও বেচাবিক্রি করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর থেকে তাদের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের ঝালকাঠি ঘাট ম্যানেজার মো. সবুজ হোসেন বলেন, ঝালকাঠি থেকে ঢাকা যেতে সর্বশেষ ট্রিপে ৬০ জন ডেক যাত্রী হয়েছে। আর কেবিন ভাড়া হয়েছে ২-৩টি। এতে বর্তমানে প্রতিবার ঢাকা আসা যাওয়ায় লঞ্চ মালিকের মোটা অংকের লোকসান গুনতে হয়। তাই এ রুটে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।
সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে যাত্রী হ্রাস পাওয়ায় লঞ্চের ব্যবসায় কিছুটা মন্দা যাচ্ছিল। তবে তাতে লোকসানে পড়তে হয়নি। কিন্তু দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পুরো ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়ে। ঝালকাঠি ঢাকা রুটে গত সপ্তাহে পৌনে ২ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে লঞ্চ বন্ধ রেখেছি।
লঞ্চঘাট এলাকার চা দোকানি আবু হোসেন, রফিকুল ইসলাম এবং সুলতান হাওলাদার জানান, লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর তাদের দোকানে মালামাল বিক্রি হয় না। সারাদিনে যে কয় টাকা বিক্রি হয় তা দিয়ে কিস্তির টাকা ওঠে না। ঈদকে সামনে রেখে সবাই হিমশিম খাচ্ছে।
ঘাটের শ্রমিকদেরও একই আকুতি। তারা বলছেন, লঞ্চ বন্ধ থাকলে তাদের পণ্য পরিবহনের কাজও বন্ধ থাকে। দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা পরিবারের জন্য ইফতার সামগ্রীও জোগাতে পারছেন না।
