কলেজছাত্রীর গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে মামলা
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলেজছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জেরে গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলি আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক ড. রাশেদ হোসাইন শুনানি শেষে আমলে নিয়ে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমেদ।
ভিকটিম ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার মাওহা ইউনিয়ন কিল্লাতাজপুর গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার পুত্র ওয়াসিম মিয়া (২৭) একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন। ওয়াসিম মিয়া এ বিষয়টি টের পেয়ে তার ছোট বোন শারমিন আক্তার ও ওয়াসিমের চাচা আনিছুল ইসলাম আনজু পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের জন্ডিস হয়েছে বলে গাছের পাতার সঙ্গে সন্তান নষ্ট হওয়ার ওষুধ খাওয়ান। মামলায় এ দুইজনকেও আসামি করা হয়েছে।
এতে গত বছরের ১ আগস্ট ভিকটিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ২ আগস্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রামের পরীক্ষায় ধরা পড়ে ইনকমপ্লিট এবারসন (গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার বর্জ্য সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়নি)। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ১৪ দিনের ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। ওষুধ খাওয়ার পরেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৩ আগস্ট আবারো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
ভিকটিম যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাকে নামমাত্র বিয়ের কাগজপত্র করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করেছিল; যা ছিল লোক দেখানো। আমার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করা এবং গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তির জন্য শুধুমাত্র প্রতারণা।
অপরদিকে ওয়াসিম মিয়া যুগান্তরকে বলেন, মেয়েটাই দোষী। সন্তান হত্যার অভিযোগও ভুয়া। এ পর্যন্ত তিনটি মামলা করেছে। মোবাইল ফোনে গালাগালির মধ্য দিয়ে পরিচয় হয়। তাকে বিয়ে করেছিলাম, এখন তালাকও দিয়ে দিয়েছি।
