Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিচারের দাবি র‌্যাগিংয়ের শিকার বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষার্থীর

Icon

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২২ পিএম

বিচারের দাবি র‌্যাগিংয়ের শিকার বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষার্থীর

জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) র‌্যাগিংয়ের শিকার এক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেত্রীর বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ছাত্রীর মৌখিক ভাষ্য জানার জন্য ক্যাম্পাসে ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ সময় তিনি বলেন, আমাকে প্রক্টর স্যার ডেকেছিলেন; দেখা করেছি। নির্যাতনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরলেও এখনো অসুস্থ বোধ করছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী নূরে জান্নাতের বিরুদ্ধে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ ও কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার লিখিত অভিযোগ করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ভাষ্য- গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নূরুন্নাহার বেগম হলের ২৩৪ নম্বর কক্ষে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। তিনি কক্ষটিতে অচেতন হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তিনি বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৮টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১২টার দিকে জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বুধবার তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে নূরে জান্নাত বলেন, ‘আমি তাকে ২৩৪ নম্বর কক্ষে ডেকেছিলাম। তার সঙ্গে কথা হয়েছে। এ সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি বুঝতে পারছি না ওই ছাত্রী কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন।’

এ প্রসঙ্গে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে জানার পর উপাচার্য আমাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। উভয়পক্ষের ভাষ্য শোনা হয়েছে। আমরা দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব। পরে শৃঙ্খলা কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

উপাচার্য মো. কামরুল আলম খান ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরপরই প্রক্টরকে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আজকের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পরে তা শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সিন্ডিকেটে তোলা হবে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো শিক্ষার্থী এমন পরিস্থিতির শিকার না হয়, সে বিষয়ে কঠোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র‌্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ। এ অপরাধ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে জান্নাত তাকে কান ধরে দাঁড় করে রেখেছিলেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

বিচার শিক্ষার্থী জামালপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম