পাবনায় ৪০-৪৩ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, নামাজ আদায়
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা। তাপমাত্রা ৪০-৪৩ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। সোমবার পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। লিচু চাষিরা এ আবহাওয়ায় বেশি শঙ্কিত।
বৃষ্টির অভাবে নষ্ট হচ্ছে ফসল। এ অবস্থায় বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষ সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করছেন।
মঙ্গলবার পাবনার যুব সমাজের আয়োজনে সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান রবের কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামেয়া আশরাফিয়া পাবনার শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা মো. হারুনুর রশিদ।
বেলা ১১টার দিকে তীব্র খরতাপ উপেক্ষা করে খোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত এ নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র ও যুবকসহ কয়েকশ ধর্ম প্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।
নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বয়ানে মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন, পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনার পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়।
পাবনার ঈশ্বরদীতে সোমবার চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। এটা জেলার স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, চলতি মৌসুমে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) হেলাল উদ্দিন বলেন, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্ত এখন পর্যন্ত ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যায়নি। কাজেই ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা স্মরণকালের মধ্যে রেকর্ড।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, তীব্র খরা চলছে। সেজন্য চলতি বোরো ধানের জমিতে সবসময় দুই থেকে তিন ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। পাশাপাশি বোরো ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি পাঁচ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।
