Logo
Logo
×

সারাদেশ

ডেঙ্গিজ্বরের চিকিৎসা, অন্য রোগে প্রাণ গেল শিশু আদিবের

Icon

ফরিদপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ১০:২৮ পিএম

ডেঙ্গিজ্বরের চিকিৎসা, অন্য রোগে প্রাণ গেল শিশু আদিবের

শরীরে ছোপ ছোপ দাগের লক্ষণ দেখে ফরিদপুরে একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডেঙ্গিজ্বরের চিকিৎসা দেন। তবে শিশুর দেহে ডেঙ্গির কোনো লক্ষণ ছিল না। কোনোভাবেই রোগীর উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানে দেখা যায় ডেঙ্গি হয়নি শিশুটির। বরং রক্তের প্লাটিলেট তৈরি হচ্ছে না।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া’। আর এই রোগ প্রকাশের মাত্র এক মাসের মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে মারা যায় শিশুটি।  

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চার বছর বয়সের শিশু আদিবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আদিব ছিল ছোট। আকছা খান নামে তার পাঁচ বছর বয়সের এক বোন রয়েছে।

শিশুর বাবা কাইয়ুম খান জানান, রমজানের শুরুর দিকে আদিবের শরীরে ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পেয়ে ফরিদপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডেঙ্গিজ্বরের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না দেখে অভিভাবকরা শিশুটিকে গত ৪ এপ্রিল ঢাকায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বোনম্যারো টেস্ট করার পরে আদিবের শরীরের রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়ার বিষয়টি চিকিৎসকের নজরে আসে।

ফরিদপুরে এ রোগের চিকিৎসা কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। এ কারণে রক্তে প্লাটিনেট কমে যাওয়ার লক্ষণকে সচরাচর ডেঙ্গিজ্বরের লক্ষণ ভেবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ফরিদপুরের এক শিশু বিশেষজ্ঞ বলেন, আমরা এসব জটিলতায় সামর্থ্যবানদের উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

আদিবের বাবা কাইয়ুম খান জানান, ঢাকায় নিয়ে তার সন্তানের বোনম্যারো টেস্ট করানোর পরে চিকিৎসকেরা জানতে পারেন যে, তার রক্তের প্লাটিলেট তৈরি হচ্ছে না। সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। পাসপোর্টও রেডি হয়ে গিয়েছিল কিন্তু আমরা আর সময় পেলাম না।

এদিকে বুধবার সকালে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে শামসুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে শিশু আদিবকে দাফন করা হয়েছে। আদিবের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিচিতজনরা তার মা-বাবাকে সহমর্মিতা জানাতে ছুটে আসেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

ফরিদপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম