ফরিদপুরের মধুখালীতে খাসজমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলা চালিয়েছে গ্রামবাসী। এ সময় ইউএনও ও তার দেহরক্ষীসহ সাতজন আহত হন। ভাংচুর করা হয় ইউএনওর গাড়ি। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ইউএনও ও আইয়ুব নামে এক ব্যক্তিকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন- ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী, তার গাড়িচালক মো. সুমন শেখ, অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম, দেহরক্ষী জমিরউদ্দিন, ইমরান হোসেন, আহসান হাবিব ও আইয়ুব আলী। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আহতদের দেখতে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। এ সময় তার সঙ্গে এডিসি জেনারেল মো. ইয়াসিন কবীর, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম আরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল হক বকু উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার বিবরণে জান যায়, উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে কয়েক একর খাসজমি এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী সরকারিভাবে উদ্ধার করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা নিজস্ব জমি দাবি করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

লেবারশেট ও মালামাল লুটের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিদর্শনে গেলে গ্রামবাসী তার ওপর হামলা করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

হামলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী জানান, উপজেলার ডুমান ইউনিয়নের নিশ্চিন্তরপুর গ্রামে খাসজমিতে ঘর নির্মাণের জন্য লেবারশেট ও মালামাল নিলে স্থানীয়রা লুট করে নিয়ে যায়। আমি সেখানে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ও আমার লোকজনের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ঘটনা যারাই ঘটাক অভিযান পরিচালনা করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। যেখানে যেটুকু খাসজমি আছে উদ্ধার করে ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আসাদুজ্জামান তপন জানান, আমি বাইরে ছিলাম। ইউএনওর মোবাইল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করি।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ঘটনাস্থলে যান।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।