গরুচোর চক্রের ৫ সদস্যকে পুলিশে দিলেন চেয়ারম্যান
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ১১:৪৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বান্দরবানের আলীকদম নয়াপাড়ায় ইউনিয়নে গরুচোর সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার রাতে নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো কফিল উদ্দিন পাঁচ গরুচোরকে পুলিশে সোপর্দ করেন। রাতে বিবেক কান্তি দে বাদী হয়ে ওই পাঁচজনের নামে মামলা করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল আলম (২০), মো. ইয়াসিন আরাফাত (১৭), শাহিন আলম (১৮), মো. হোছেন (২৩), জাফর আলম (৩১)। তাদের সবার বাড়ি নয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডে।
জানা যায়, একটি চুরি হওয়া গরু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে গত রোববার রাতে বিবেক কান্তি দের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির ঘটনাটি সামনে আসে। গরুচোরের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের সবাইকে পরিষদে ডাকা হয়। প্রথমে গরু চুরির বিষয়টি অস্বীকার করলেও সাক্ষীদের মুখোমুখি করা হলে স্বীকার করেন অভিযুক্তরা বাদীর গরু চুরি করে জবাই করে মাংস বিক্রি করেছেন। গরু চুরির ঘটনা প্রমাণিত হলে গরু চুরির সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
আলীকদম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাফফর হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত পাঁচজনই গরু চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন বলেন, মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ চোরাই গরু আসার পর থেকে এই ইউনিয়নে গৃহপালিত গরু চুরির ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, গরু চুরির আতংকে গোয়াল ঘরে না রেখে মানুষের শোয়ার ঘরের গরু রাখতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতিদিনই অসংখ্য গরু চুরির অভিযোগ আসে। এভাবে খেটে-খাওয়া মানুষের কষ্টে কেনা গরু চুরি হলে তাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই চুরি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান তিনি।
