খুন হওয়া স্কুলছাত্রী মুক্তির পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস
নেত্রকোনার বারহাট্টায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটে কাওছার মিয়ার (১৮) হাতে খুন হয় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণ (১৫)। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার।
বুধবার দুপুরে তারা মুক্তির গ্রামের বাড়ি প্রেমনগর ছালিপুরা এলাকায় যান। এ সময় তারা নিহত মুক্তির পরিবারকে সান্ত্বনাসহ, নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি মুক্তির বড় বোনকে চাকরির আশ্বাস, বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালানোসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
এ সময় বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান, বাউসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছুল হক, বারহাট্টা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শাখাওয়াত হোসেন, যুবলীগ নেতা একেএম আজাহারুল ইসলাম অরুণ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আওয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি হত্যাকারী সর্ব্বোচ শাস্তি পাবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, ইভটিজিং (উত্ত্যক্ত), মাদক, জুয়া, দুর্নীতি এসব আমাদের দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। এসব বিষয়য়ে তিনি জিরো টলারেন্স। আমরা সমস্ত কিছুতেই চাই মানুষ তার স্বাভাবিক জীবন-যাপন করুক।
তিনি আরও বলেন, মুক্তির বড় বোন স্নাতক পাশ করেছেন, তাকে সরকারি হোক বেসরকারি হোক একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। অন্য বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালানো হবে। পরে তিনি পরিবারের কাছে নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অসিত কুমার সরকার মুক্তির বাবা ও মায়ের হাতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
নিহত মুক্তি বর্মণ উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের মো. শামসু মিয়ার ছেলে। গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে কাওছার।
খুন হওয়া স্কুলছাত্রী মুক্তির পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
০৭ মে ২০২৩, ২৩:০১:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনার বারহাট্টায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটে কাওছার মিয়ার (১৮) হাতে খুন হয় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণ (১৫)। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার।
বুধবার দুপুরে তারা মুক্তির গ্রামের বাড়ি প্রেমনগর ছালিপুরা এলাকায় যান। এ সময় তারা নিহত মুক্তির পরিবারকে সান্ত্বনাসহ, নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি মুক্তির বড় বোনকে চাকরির আশ্বাস, বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালানোসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
এ সময় বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান, বাউসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছুল হক, বারহাট্টা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শাখাওয়াত হোসেন, যুবলীগ নেতা একেএম আজাহারুল ইসলাম অরুণ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আওয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি হত্যাকারী সর্ব্বোচ শাস্তি পাবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, ইভটিজিং (উত্ত্যক্ত), মাদক, জুয়া, দুর্নীতি এসব আমাদের দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। এসব বিষয়য়ে তিনি জিরো টলারেন্স। আমরা সমস্ত কিছুতেই চাই মানুষ তার স্বাভাবিক জীবন-যাপন করুক।
তিনি আরও বলেন, মুক্তির বড় বোন স্নাতক পাশ করেছেন, তাকে সরকারি হোক বেসরকারি হোক একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। অন্য বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালানো হবে। পরে তিনি পরিবারের কাছে নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অসিত কুমার সরকার মুক্তির বাবা ও মায়ের হাতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
নিহত মুক্তি বর্মণ উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের মো. শামসু মিয়ার ছেলে। গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে কাওছার।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023