ভূরুঙ্গামারীতে রান্নাঘরের আগুনে পুড়ল প্রতিবন্ধীর স্বপ্ন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রান্নাঘরের আগুনে এক প্রতিবন্ধীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি ষাঁড় গরু ও তিনটি টিনের ঘর পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আসামপাড়া গ্রামের মৃত আবু বকরের প্রতিবন্ধী ছেলে সেকেন্দার আলীর (৫০) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সেকেন্দার আলীর স্ত্রী রান্নাঘরে দুপুরের খাবার রান্না করার সময় হঠাৎ ঘরে আগুন লাগে। প্রচণ্ড রোদে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঘরে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এলাকাবাসী। ততক্ষণে বাড়ির রান্নাঘর, একটি গোয়াল ঘর ও একটি টিনের শয়ন ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় গোয়ালে থাকা একটি বড় ষাঁড় গরু আগুনে দগ্ধ হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত সেকেন্দার আলী জানান, আমি একজন প্রতিবন্ধী ও নদীভাঙা মানুষ। এর আগে আমি ইসলামপুর গ্রামে ছিলাম। দুধকুমার নদীর ভাঙনে ভিটামাটি হারিয়ে দুই বছর আগে এখানে বাড়ি করছি। ওই গরুটাই আমার একমাত্র সম্বল ছিল। গত মঙ্গলবার পাইকার এসে গরুটির দাম এক লাখ টাকা বলেছে। আমি কুরবানির ঈদে গরুটি বেচতে চাইছিলাম। আগুনে পুড়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ইউপি সদস্য আবু সাদায়াত মোহাম্মদ বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমন মিয়া বলেন, দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছতে একটু দেরি হয়। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
ভূরুঙ্গামারীতে রান্নাঘরের আগুনে পুড়ল প্রতিবন্ধীর স্বপ্ন
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১১ মে ২০২৩, ২১:৩০:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রান্নাঘরের আগুনে এক প্রতিবন্ধীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি ষাঁড় গরু ও তিনটি টিনের ঘর পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আসামপাড়া গ্রামের মৃত আবু বকরের প্রতিবন্ধী ছেলে সেকেন্দার আলীর (৫০) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সেকেন্দার আলীর স্ত্রী রান্নাঘরে দুপুরের খাবার রান্না করার সময় হঠাৎ ঘরে আগুন লাগে। প্রচণ্ড রোদে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঘরে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এলাকাবাসী। ততক্ষণে বাড়ির রান্নাঘর, একটি গোয়াল ঘর ও একটি টিনের শয়ন ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় গোয়ালে থাকা একটি বড় ষাঁড় গরু আগুনে দগ্ধ হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত সেকেন্দার আলী জানান, আমি একজন প্রতিবন্ধী ও নদীভাঙা মানুষ। এর আগে আমি ইসলামপুর গ্রামে ছিলাম। দুধকুমার নদীর ভাঙনে ভিটামাটি হারিয়ে দুই বছর আগে এখানে বাড়ি করছি। ওই গরুটাই আমার একমাত্র সম্বল ছিল। গত মঙ্গলবার পাইকার এসে গরুটির দাম এক লাখ টাকা বলেছে। আমি কুরবানির ঈদে গরুটি বেচতে চাইছিলাম। আগুনে পুড়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ইউপি সদস্য আবু সাদায়াত মোহাম্মদ বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমন মিয়া বলেন, দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছতে একটু দেরি হয়। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023