Logo
Logo
×

সারাদেশ

তীব্র লবণাক্ত জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন!

Icon

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ১১:১১ পিএম

তীব্র লবণাক্ত জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন!

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় তীব্র লবণাক্ত জমিতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ উপজেলায় তীব্র লবণাক্ত জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়ে আসলেও চিংড়িতে রোগবালাইসহ ঘনঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কৃষকরা বোরো ধান চাষে এগিয়ে এসেছেন।

চলতি মৌসুমে রামপাল উপজেলায় চার হাজার ৭০১ হেক্টর জমিতে লবণসহিষ্ণু উন্নত জাতের বোরো ধানের আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, এবার রামপালে বোরো ধান থেকে ২০ হাজার ৬৬১ মেট্রিক টান চাল উৎপাদন হবে। ইতোমধ্যেই কৃষকরা ক্ষেত থেকে তাদের উৎপাদিত বোরো ধান কর্তন শুরু করেছেন।

রামপাল উপজেলার বড়দিয়া গ্রাামের কৃষক মোন্তাজ মোল্লা, সিংগড়বুনিয়া গ্রামের কৃষক বাকিবিল্লাহ ও হুড়কা ইউনিয়নের পার্থ মণ্ডল জানান, আমাদের উপকূলীয় এলাকার মাটি ও পানিতে তীব্র লবণাক্ততা থাকে। সে কারণে আমরা জমিতে বাগদা চিংড়ির চাষ করে থাকি। চিংড়িতে রোগবালাইসহ ঘনঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে প্রায় প্রতি বছরই আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এবার উপজেলা কৃষি অফিস লবণ সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহী করার পাশাপাশি সময়মতো বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় এবার বাম্পার ফসল পেয়েছি।

রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মণ্ডল জানান, রামপাল হচ্ছে তীব্র লবণাক্ত জলাভূমি এলাকা। এই এলাকার কৃষকরা ধান চাষের চেয়ে চিংড়ি চাষে বেশি আগ্রহী। গত কয়েক বছর ধরে বাগদা চিংড়িতে রোগবালাইসহ ঘনঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় গত কয়েক বছর ধরে কৃষি বিভাগ রামপাল উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কৃষকদের লবণ সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের ধান চাষে আগ্রহী করতে প্রশিক্ষণ প্রদর্শনী প্লটের পাশাপাশি সময়মত বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ দিয়ে সহায়তার কাজ শুরু করে। বদলে যেতে থাকে রামপালে ধান উৎপাদনের চিত্র। গত বছর এই উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে। এবার ৪ হাজার ৭০১ হেক্টর জমিতে লবণ সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা ধান কর্তনের পর মেপে দেখেছি এই উপজেলা থেকে এবার ২০ হাজার ৬৬১ মেট্রিক টান চাল উৎপাদন হবে।

আগামীতে রামপালে লবণসহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের ধান চাষ আরও বাড়বে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

বাগেরহাট

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম