এসএসসির প্রশ্নের ছবি তুলে টয়লেটে গিয়ে সমাধান করে ছড়িয়ে দিতেন হলে!
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে টয়লেটে গিয়ে তা সমাধান করে হলে শিক্ষার্থীদের দিতেন মো. নূর করিম নামে নোয়াখালীর সদর উপজেলার শান্তির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বিষয়টি দেখে ফেলেন।
পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন এবং সমাধান পাওয়ায় মো. নূর করিমকে (৩০) দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলা করায় ওই কক্ষে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বুধবার দুপুরে উপজেলার চর মটুয়া ইউনিয়নের পানামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শান্তির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. নূর করিমকে টয়লেটে প্রশ্নোত্তর লিখতে দেখে কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বিষয়টি মোবাইল ফোনে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দকে জানান। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নূর করিমের মোবাইল ফোনে প্রশ্ন এবং সংশ্লিষ্ট উত্তর খুঁজে পান এসিল্যান্ড। তার মোবাইলে বুধবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্ন এবং সমাধানসহ পূর্বের সব পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক এবং সৃজনশীল পরীক্ষার প্রশ্ন এবং কাগজে লেখা উত্তর পাওয়া গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও জানায়, পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সে ছবিগুলো তুলেছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। পরবর্তীতে নূর করিমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। প্রশ্ন সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও দায়িত্ব অবহেলা করায় দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নূর করিম প্রথম পরীক্ষা থেকেই প্রশ্নের ছবি তুলে সমাধান করতেন। তার মোবাইল ফোনে পূর্বে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসমূহের ছবি ও উত্তর পেয়েছি; তবে তার সঙ্গে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি এবং উত্তর সংবলিত লিখিত কাগজটি আলামত হিসেবে জব্দ করেছি।
