ভাই-বোনসহ ৬ কিশোরকে মারধর, ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুলিশে দিলেন সৎমা
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সৎমায়ের কাছ থেকে অসুস্থ বাবাকে নিতে এসে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ভাই-বোনসহ স্কুলপড়ুয়া ৬ কিশোর। পরে তাদের ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন সৎমা ও বাড়িওয়ালা। মঙ্গলবার রাতে বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এইচএম মাহমুদ জানান, সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামের মৃত শাহ আলীর ছেলে মো. জজ মিয়া (৫০) দুটি বিয়ে করেন। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী সেতেরাকে (৪০) নিয়ে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল গ্রামের ফখরুদ্দিনের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছেন। এক সপ্তাহ আগে অসুস্থ হন জজ মিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে জজ মিয়ার প্রথম সংসারের মেয়ে জাকিয়া (২৬) অসুস্থ বাবাকে দেখতে আসেন এবং তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চান।
এ নিয়ে সৎমায়ের সঙ্গে জাকিয়ার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে জাকিয়া ও জজ মিয়াকে মারধর করা হয়। বাবা ও বোনকে আটকে রেখে মারধরের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে জজ মিয়ার ছেলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র জোবায়ের ও ভাতিজা রবিউলসহ ৭-৮ জন স্কুলছাত্র ওই বাসায় যান। এরপর ভাই-বোনসহ ছয় কিশোরকে মারধর করে ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে উভয় পরিবারের মধ্যস্থতায় রাতেই ছয়জনকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জাকিয়া জানান, অসুস্থ বাবাকে আনতে সৎমায়ের বাসায় গিয়েছিলাম। এ সময় সৎমায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়িওয়ালার স্ত্রী খোদেজা সৎমায়ের পক্ষ নিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। ওই মুহূর্তে তার বাড়ির লোকজন আমাকে এবং বাবাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমার ছোট ভাই, চাচাতো ভাইসহ ৬-৭ জন বাবাকে ছাড়াতে আসে। তাদের ডাকাত বলে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে সৎমা ও বাড়িওয়ালা।
বাড়িওয়ালা ফখরুদ্দিন জানান, ভাড়াটিয়া জজ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ছেলে ও মেয়ে ১০-১২ জন লোক নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। পরে এলাকাবাসী ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
